ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণে মজবুত জাতি হিসেবে বিশ্বের কাছে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের সাথে যদি তুলনা করা হয় তা হবে দিন রাতের মত পার্থক্য।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর মোটেল সৈকতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উদ্যোগে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের আয়োজন মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে সমাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের টাকার মান আমাদের চেয়ে অনেক কম। আমাদের ১ টাকা পাকিস্তানের দেড় টাকার উপরে। সব ক্ষেত্রে আমাদের দৃঢ় অবস্থান রয়েছে। একটা সুন্দর ব্যালেন্স দেশ হিসেবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন বলেন, মাদক ইয়াবার পর এখন আইস এলএসডি, ডিওবি এখন মাথা ব্যাথা। এসব ড্রাগ লেখা প্রিন্টের মাধ্যমে বহন করা হচ্ছে। আগামী কয়েক বছর পর আমরা একটা অক্ষম জনগোষ্ঠী পাব। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী কমে যাবে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঠিকানা বিহীন লেনদেন হচ্ছে। যা এনফোর্সমেন্ট করে ঠেকানো সম্ভব নয়।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজকে সাথে নিয়ে একযোগে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল।

সবাই উপস্থিত হওয়ায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মজিবুর রহমান পাঠোয়ারী। কর্মশালায় ডিআইজি (চট্টগ্রাম রেঞ্জ), সিএমপির কমিশনার ও উপ-কমিশনারগণ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, র‍্যাব ও কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভাগীয় কারা উপমহাপরিদর্শক, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগ ও প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাসহ ১৮০ জনেরও বেশি বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।